সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ার অনেক কিছুই এখনো বিশ্ববাসীর কাছে অজানা রয়ে গেছে। গুজব আছে সারা দেশে প্রায় ৯০ টি গোপন সামরিক ঘাটি তৈরী করেছে এই দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে একটি নাম KAPUSTIN YAR
১৯৬৪ সালে তৈরী হয়েছিলো কাপাস্টিন ইয়ার নামক এই ঘাটি। এটি ছিলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এর রকেট উৎক্ষেপণ ও গবেষণা কেন্দ্র।
এখান থেকে SPUTNIK ১ এবং ২ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিলো। বিভিন্ন সুত্রমতে, এই যায়গায় দেশের সেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীরা কাজ করেন, যাদের সমন্ধে মানুষ কিছুই জানে না। এমনকি এই জায়গার তথ্য গুগল আর্থ এ ও নাই।
১৯৬২ সালে এই জায়গার পরিসর বাড়তে থাকলে জায়গাটি একটি শহরের রুপ নেয় কিন্তু রহস্য ঘনাতে শুরু করে এর পর থেকেই। অনেকেই বলতে শুরু করেন, এই শহরের নিচেই তৈরী করা হয়েছে এক গোপন সামরিক ঘাটি। মাটির অন্তত ৪০০ মিটার নিচের এই ঘাটির সাথে মিল আছে যুক্তরাষ্ট্রের Area 51 ঘাটির।
এই যায়গা টি এতই সিক্রেট যে, ভিতরে কি হচ্ছে তা সমন্ধে কিছুই জানেনা বাহিরের মানুষ। তবে অনেকেই বলেন এখানে অজানা উড়ন্ত বস্তু ইউএফও (UFO) নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। আবার গুজব আছে, রাশিয়া এখানে সুপার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছে। তবে ১৯৪৮ সালের একটি ঘটনা সবার নজর কাড়ে।
১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইউএফও দেখার পর পরই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাডারে একটি অদ্ভুদ উড়ন্ত বস্তু ধরা পড়ে। এক যুদ্ধবিমানের পাইলটও দাবি করেন, আকাশে একটি উজ্জল আলোকিত বস্তু তার চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে।
এই অজানা বস্তুকে ধাওয়া করার জন্য পাইলট কে নির্দেশ দেয়া হয় এবং পাইলট কিছুক্ষণ ঐ উড়ন্ত বস্তুকে ধাওয়া করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রহস্যজনক ভাবে ঐ উড়ন্ত বস্তু এবং বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
তারপর ঐ অজানা বস্তু এবং বিমানটির ধ্বংসাবশেষ গুলো নিয়ে যাওয়া হয় এই সামরিক ঘাটিতে। মনেকরা হয় এরপর থেকে যত ইউএফও রাশিয়ার মাটিতে বিধ্বস্ত হয়েছে সব গুলোই গবেষণার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই সুপার সিক্রেট সামরিক ঘাটিতে।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট এবং নিজে সংযোজিত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.