Su-35 এর ককপিটে রয়েছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রল কলাম যার পিছনে রয়েছে Zvezda K-36D 3.5E zero-zero ইজেকশন সিট, যা শূন্য গতি ও উচ্চতায় ইজেক্ট করতে সক্ষম। এয়ারক্রাফটটিতে আছে কোয়াডরুপ্লেক্স ডিজিটাল ফ্লাই-বাই-ওয়্যার টেকনোলজি।
এই টেকনোলোজি টি ডেভেলপ করেছে MNPK Avionika কোম্পানি। ককপিটে আছে দুইটি 230*305mm High Resolution LCD ডিসপ্লে, যার সাথে একটি মাল্টিফাংশন কন্ট্রোল প্যানেল এবং ikSh 1M হেড আপ ডিসপ্লে রয়েছে, যার ভিউ ২০*৩০ ডিগ্রী(Wide view!)
রেডিও কমান্ডের জন্য ভিএইচএফ এবং ইউএইচএফ এনক্রিপশন করা রেডিও কমান্ড সিস্টেম এবং জ্যাম রেজিস্ট্যান্ট মিলিটারি ডেটা লিংক রয়েছে। নেভিগেশন সিস্টেম হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল ম্যাপ, ইনার্শিয়াল এবং জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম।
সেন্ট্রাল স্টিকঃ
১. অটোমেটিক কন্ট্রোল সিস্টেম(ACS) বাটন বা অটোপাইলট বাটন। এসিএস বাটন প্রেস করলে বিমানের দায়িত্ব তখন এসিএস এর উপর অর্পিত হয়।
২. এ বাটনে ৪ টি CCD মোড রয়েছে যার মাধ্যমে নেভিগেশন, কম্ব্যাট, কমপ্লেক্স প্রভৃতিতে সিলেক্ট করে।
৩. এই সুইচটিকে ভুমি সমান্তরাল করলে যদি পাইলট প্রচন্ড ম্যানুয়েভারের জন্য খারাপ অনুভব করে তাহলে বিমান ভুমি সমান্তরাল ভাবে পজিশন নিবে। গতি স্বাভাবিক করবে
৪. এটা ক্যানন এবং রকেট এর ফায়ারিং বাটন।
৫. এই মোডে বিমান ট্র্যাজেক্টরি কন্ট্রোল থেকে ম্যানুয়াল কন্ট্রোল হয়ে যায়।
৬. এ বাটনে সুপারম্যানুয়েভারেবল মোড অন হয়ে যায়।
৭. জয়স্টিক কন্ট্রোল মার্কার যা স্ক্রিনে কার্সারের পজিশন বদলানো যায়।
মোটর কন্ট্রোল লিভারঃ
১. ফোর (Four) সার্ভিয়েলেন্স-এটাক সিস্টেম কন্ট্রোল সুইচ। এটিতে ১৪ টা আলাদা ফাংশন আছে।
২. ইন্টার দ্য কমান্ড সুইচ।
৩. রেডিও টিউনিং সুইচ।
৪. ওয়েপন চয়েস বাটন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাটল মোডে আলাদা আলাদা ওয়েপন সেট রেকমেন্ড করে। কিন্তু পাইলট চাইলে নিজের ইচ্ছামত চয়েস করতে পারে।
ককপিট এর বিবরণঃ
১. এমএফডি-৩৫ নামের ই ১৫ ইঞ্চি বা ২৩০*৩০৫ মিমির এই মাল্টিফাংশন ডিসপ্লেতে একাধারে ফ্লাইট মিশন, নেভিগেশন, ওয়েপন এবং টেকনিক্যাল কন্ডিশন নিয়ে ভাগ করা যায়।
২. এই ১৫ ইঞ্চির ডিসপ্লেতে CCD বা কমপ্লেক্স কন্ট্রোল মোড নিয়ে কাজ করা যায়। ৫টি মোড রয়েছে যথা:
শর্ট রেঞ্জ, লং রেঞ্জ, শর্ট গ্রাউন্ড, লং গ্রাউন্ড এবং ন্যাভিগেশন। প্রতি মোডে টার্গেট এবং ইফেক্টিভ অস্ত্র এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য দেয়।
৩. এটা ব্যাকআপ সিস্টেম যাতে দুইটি ডিভাইস যথা অল্টিমিটার এবং এটিটিউড ইন্ডিকেটর আছে যা মেইন এভিওনিক্স যদি ফেইলুয়ার হয় তবে কাজে দেয়।
৪. মাল্টিফাংশন ইনফ্রারেড ডিসপ্লে যা ৪*৫ ইঞ্চি পরিমাপের এবং প্যাসিভ IRST এর সাথে সংযুক্ত।
৫. এ ডিভাইসে বেসিক ফ্লাইট ডেটা যথা: এটিটিউড, স্পিড, এটিটিউড ইন্ডিকেটর, হেডিং ও অন্যান্য দরকারি ফ্লাইট ডেটা দেখায়।
৬. এই ইউনিটে বিমান সকল কাজ অটো করে দেওয়ার ব্যাবস্থা আছে। শুধুমাত্র টেক অফ, ল্যান্ডিং এবং ওয়েপন সিলেকশন পাইলটকে করতে হয়। বাকিটা ইউনিটের কাজ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.