☞এগুলোর নেভিগেশন সিস্টেম R2D2 এতটাই শক্তিশালী যে বিমানটি মাটিতে থাকা অবস্থায়ও ৬১ টি তারা সনাক্ত করতে পারত!

☞এটি সার্ভিসে আসা সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমান ছিল। এর অফিশিয়াল রেকর্ডে ১৯৭৬ এর জুলাই মাসে ২১৯৩.১৩ মাইল/ঘন্টা।

☞ সার্ভিসে থাকাকালীন ২৫ বছরে এগুলোর দিকে ৪০০০ এর বেশি মিসাইল ফায়ার করা হয় কিন্তু একটিও হিট করতে পারেনি। মিসাইল থেকে বাচার উপায়টিও অভিনব, শুধু গতি বাড়িয়ে দেয়া তার ফলে মিসাইলের রেঞ্জ থেকে বের হয়ে যেত। আবার অনেক মিসাইল তো ওই গতিতে উড়তেও সক্ষম ছিলনা!

☞বিমানগুলো বানানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে টাইটেনিয়াম দরকার ছিল কিন্তু আমেরিকার কাছে তা ছিলনা। ফকে CIA সোভিয়েতের কাছাকাছি অনেকগুলো নকল কোম্পানি গঠন করেছিল যেগুলো সোভিয়েতের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ টাইটেনিয়াম কিনেছিল।

☞বিমানটি উড়াতে বা বিমানটিতে কাজ করতে হলে বয়স ২৫-৪০ বছরের মধ্যে এবং বিবাহিত থাকা আবশ্যক ছিল। তার কারণ শর্ত এখানে শুধুমাত্র Emotionally Stable ব্যাক্তিরাই এর কাজে নিয়োজিত থাকবে।

☞মাক-৩ গতিতে এটির কিছু কিছু পার্টস ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর কাছাকাছি পৌছে যেত। এর কারণ ছিল প্রচণ্ড গতির কারণে যে এয়ারফ্লো হত সেগুলোর ঘর্ষণ। ব্ল্যাকবার্ডে কালো রঙ করার কারণ এটাই ছিল কারণ এটি হিট তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে দিতে পারত অন্যান্য রঙের চেয়ে। ফলে প্রায় ৬০ পাউন্ড রঙ করা হয়েছিল যা ওভারেজ ৮৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে কোনো ভয়াবহ দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেত। আর ককপিট টেম্পারেচার এয়ারকন্ডিশন করে ফ্রিজিং টেম্পারেচার এর কিছুটা উপরে রাখা হত। তা না হলে টেম্পারেচার ১২০ডিগ্রী ছাড়িয়ে যেত।

☞এর ফ্লাইট স্যুটটি আসলে একটি স্পেস স্যুট। প্রাথমিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারগণ এটিকে Gemini mission থেকে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে আরো এডভান্সড স্যুট দেয়া হয় যা এখনও মহাকাশচারীগণ হাতে পায়নি! স্পেস স্যুট দেয়ার কারণ ছিল এর নিজস্ব অক্সিজেন প্রেশারাইজেশন সিস্টেম। যার কারণ যদি ২০০০ মাইল/ঘন্টা গতি এবং ৪৫০ডিগ্রী সেলসিয়াসে ইজেকশন করা হয় তাহলে পাইলট খুব দ্রুত শ্বাসরোধ ও পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে।

☞এর ফুয়েল ট্যাংক যেভাবে তেল ধরে রাখত তা অনেকটা ছাকনির উপির পানি রাখার মতই ছিল। কারণ এর অপারেশনের সময় যে তাপমাত্রা থাকতো তাতে পুরো বডিই প্রসারিত হত। ফলে ইঞ্জিনিয়ারগন সবকিছু ঢিলাকরে ফিট করত। এটি মাটিতে থাকা অবস্থায় এত বেশি ফুয়েল লিক করত যে টেক অফের আগে রানওয়ে বা কাছাকাছি ট্যাক্সিওয়েতেই ফুয়েল দিয়েই টেক অফ করানো হত। এতেই শেষ নয়। এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে টেক অফের মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই একে এয়ার টু এয়ার রিফুলিং করানো লাগত। কিন্তু যেহেতু তাপে বডি প্রসারিত হয়ে গেছে তাই আর চিন্তা নেই।

☞বিমানটির যতগুলো ধারালো ও সূচালো/চোখা পার্টস ছিল তা খুবই জটিল ও দরকারী ছিল। তার কারণ এর ইনটেকের ভিতরে খুব বেশি বা খুব কম বাতাস প্রবেশ করলে চরমভাবে ও সাথেসাথেই কন্ট্রোল ফেইলুয়ার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

☞ব্ল্যাকবার্ড এর ক্যামেরা এতটাই এডভান্সড ছিল যে এটি ৮০০০০ ফিট নিচে ও ২০০০+ মাইল/ঘন্টা গতিতে চলমান অবস্থায়ও একটি গাড়ির ছবি তুলতে সক্ষম ছিল!

☞ এর ফুয়েল মোডিফাইড JP-7. এ যদি জ্বলন্ত লাইটার ফেলে দেন তাহলেও আগুন ধরবেনা। এর জন্য এতে ইগনিশনের সময় Tri Ethel Boron নামক কেমিকেল দিয়ে প্রজ্জলিত করা হত!

Lockheed SR-71 Blackbird

Lockheed SR-71 Blackbird’s Front View

Lockheed SR-71 Blackbird

Lockheed SR-71 Blackbird’s Back View

Lockheed SR-71 Blackbird

Lockheed SR-71 Blackbird Aircraft

Facebook Comments

comments