থার্ড রাইখের ফুয়েরার এডলফ হিটলার অপ্রত্যাশিত সন্তান ছিলেন। তাই তার মা এবোর্ট করতে ডাক্তারের নিকট গেলে ডাক্তার সব পরীক্ষা করে বলেন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে তাই এখন আর এবোর্শন করা যাবে না। করলে মায়ের মৃত্যু হতে পারে।

ছোট বেলায় একবার পানিতে পড়ে যান। তখন তার সাথে কোন বন্ধু বা ভাইবোন ছিলো না। এক পাদ্রী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছোট্ট হিটলারকে হাবুডুবু খেয়ে তলিয়ে যেতে দেখে পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেন।

হিটলার তীব্র ইহুদী বিদ্বেষী থাকলে তার মা যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন তখন এক ইহুদী ডাক্তার চিকিৎসা করতেন। এক পর্যায়ে অর্থাভাবে আর ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে নিতে পারবেন না সেটা সেই ডাক্তারকে জানিয়ে দেন। কিন্তু ডাক্তার তার ভিজিট বন্ধ করেন নি। যতদিন হিটলারে মা বেঁচে ছিলেন ততদিন বিনামূল্যে সেই ডাক্তার চিকিৎসা চালিয়ে যান। হিটলার এই ডাক্তারকে বলতেন, পায়াস জিউ। নাৎসী বাহিনী যখন ইহুদী নিধন শুরু করেন তখন হিটলার নিজে সেই ইহুদীকে জার্মানীর সম্পদ ন্যায্য দামে বিক্রি করে আমেরিকা চলে যেতে সাহায্য করেন।

হিটলার দারুণ ছবি আঁকতে পারতেন। ড্রয়িং এর হাত তার জন্মগত ভাবেই নাকি অসাধারণ ছিলো। বার্লিনে এসে একাধিক বার চেষ্টা চালান আর্ট কলেজ ও আর্কিটেকচার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করার। কিন্তু সেখানকার শিক্ষকরা তার মেধার মূল্যায়ন করতে ব্যার্থ হয়। ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে হিটলার মিলিটারীতে যোগ দান করেন ও নিজের ধ্বংস ক্ষমতা উপলদ্ধি করেন।

হিটলারের নিজ হাতে আঁকা ব্যাভারিয়ান আর্ট এর ছবিগুলো খুবই উঁচু মানের কাজ।

হিটলার হজমের সমস্যা প্রকট ছিলো। তাই তিনি শেষে ভেজেটেরিয়ান হয়ে যান। তাছাড়া ইহুদী ও থার্ড রাইখের শত্রু বাদে অন্যদের সাথে কোমল আচরণই করতেন। তিনি সায়েন্স ল্যাবে ইদুর ও গিনিপিগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন। অকারণে প্রাণি হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইন জারী করেন।

আধুনিক কালে যে জনসম্মুখে ধূমপান নিষিদ্ধ তা তিনিই প্রথম প্রচলন করেন। সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন করেন। শ্রমিকদের অধিক না খাটিয়ে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েও যে প্রডাকশন বৃদ্ধি করা যায় তা হিটলার প্রমাণ করেছেন।

জার্মানিতে নব শিল্প বিপ্লবের সূচনা করেন এডলফ হিটলার।

 

লেখায়ঃ নাজমুস সাকিব

Facebook Comments

comments