র্থ পর্বের পর…

স্পেশাল অপারেশন টিমের সদস্যদের নিয়ে এমআই-১৭ কপ্টারটি ধেয়ে চললো এক্কেবারে সীমান্তের পাশাপাশি ঘন জঙ্গলে। কপ্টারটির ঠিক উপরে উড়ে চলছিলো মেজর মুনতাসিরের কমান্ড সেন্টার থেকে পরিচালিত একটি ড্রোন। আরেকটি ড্রোন মিয়ানমারের কমান্ডোদের গতিবিধি নজর রাখছিলো। মেজরের নির্দেশে কপ্টারটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে থামলো। রশি ফেলা হলো, ক্যাপ্টেন ইরফান চিৎকার দিয়ে বললো “Ready Go” সাথে সাথে স্পেশাল টিমের বিজিবি সদস্যরা রশি বেয়ে নামতে শুরু করলো। সবশেষ ক্যাপ্টেন ইরফান ও পাইলটের কাছ থেকে বিদায় নিলো। পাইলট বললো “বেস্ট অব লাক ম্যান” এই বলে সে কপ্টার ঘুরিয়ে পুনরায় সদর ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।

ওদিকে ড্রোনের কল্যানে মেজর মুনতাসির অপারেশন কন্ট্রোলরুম থেকে গোটা বিষয়টি নজরদারী করছেন। ফোর্স হেলিকপ্টার থেকে নামার সাথে সাথেই ক্যাপ্টেন ইরফান ৪ জন এলএমজি ধারীকে মায়ানমার সীমান্তের আউটপয়েন্টে পজিশনে বসিয়ে দিলেন। এই পয়েন্টগুলো হলো সেসব পয়েন্ট যেগুলো দিয়ে শত্রুরা পালাতে পারে। ক্যাপ্টেন মুনতাসির ৪ গানম্যানকে একটি পাসওয়ার্ড কোড বলে দিলেন। তা হলো ঈগল-প্যানথার অর্থাৎ রাতের আধারে পরিচালিত এই অপারেশনে গানম্যানদের সামনে যদি ঘটনক্রমে কোন বিজিবি সদস্য এসে পড়েন তাহলে গানম্যান প্রথমে ঈগল বলবেন যদি সামনে পড়া সেই সৈনিক বিজিবিরই হয় তবে সে পাসওয়ার্ড বলবে প্যানথার তাহলে গানম্যান ধরে নেবে সে বিজিবি সদস্য এবং সে গুলি চালানো হতে বিরত থাকবে। আর যদি সঠিক উত্তর না দিতে পারে তবে ৩ সেকেন্ডের মধ্যে গর্জে উঠবে মেশিনগান।

ক্যাপ্টেন ইরফান এলএমজি ম্যানদের পজিশন ঠিক করে দিয়ে বাকী ফোর্সদের ৩ টি ভাগে ভাগ করলেন এবং ৩ দিক থেকে জঙ্গলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। মেজর লিয়াং কপ্টার আসার শব্দ শুনে ভেবেছিলো তাদের ওপর কপ্টার দিয়ে গুলি করা হবে। তাই তিনি বাকী সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে আড়াল হয়ে চলতে বললেন। এবং ধীরে ধীরে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে এগুতে লাগলেন। কিন্ত বেশ কিছুক্ষন যাবার পর। মেজর লিয়াং লক্ষ্য করলেন কপ্টার কোন এ্যাটাক না করেই ফিরে গেছে। আর মর্টার ফায়ারও বন্ধ হয়েছে। সে মনে মনে নিজের প্রশংসা করলো এই ভেবে যে তার বুদ্ধি কাজে লেগেছে। বিজিবির কপ্টার তাদের খুজে না পেয়ে ফিরে গেছে। সে আরও ভাবলো বিজিবিরা হয়তো হাল ছেড়ে দিয়েছে। এসব ভেবে সে সবাইকে আবারও দ্রুত চলার নির্দেশ দিলো। কিন্ত এমন সময় মেজরের দুই পাশে থাকা দুই বর্মী কমান্ডোর কপাল ও বুক ছিদ্র করে দিয়ে গেলো এসএমজির একগুচ্ছ বুলেট। মেজর লিয়াং সবাইকে পাল্টা ফায়ারিং এর নির্দেশ দিলো।

ওদিকে সুবেদার আতাউরের নেতৃত্বে থাকা বিজিবির ৯ সদস্যের আক্রমন কারী প্রথম দলটিও শত্রু কমান্ডোদের লক্ষ্য করে প্রবল বেগে ফায়ারিং শুরু করলো। বর্মী কমান্ডোদের ৫১ সদস্যের প্রায় ৭ জনই প্রথম পর্যায়ের ফায়ারিংয়ে মারা পড়লো। মেজরসহ বাকীরা বিভিন্ন গাছের আড়ালে গিয়ে পজিশন নিয়ে পাল্টা ফায়ারিং আরম্ভ করলো। সুবেদার আতাউর তার দলকে বার বার অবস্থান পরিবর্তন করে ফায়ারিংয়ের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন যাতে শত্রুরা বিজিবি সদস্যদের পরিমাণ আন্দাজ না করতে পারে এবং বিভ্রান্ত হয়। ওদিকে ডান পাশের ও বাম পাশের জঙ্গলে পজিশন নেয়া বিজিবির অন্য দুই দল ক্যাপ্টেন ইরফানের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন। ক্যাপ্টেন ইরফান অপেক্ষা করছিলেন মেজর মুনতাসিরের নির্দেশ পাওয়ার জন্য, কারণ মেজর মুনতাসির গোলাগুলির সামগ্রিক বিষয় ড্রোন থেকে প্রাপ্ত ফুটেজের ভিত্তিতে যাচাই করছিলেন।

মেজর মুনতাসির জানতেন সম্মুখ হামলার শিকার হলে বর্মী কমান্ডোরা ডানে বামের জঙ্গলে পালাবে। আর এজন্যই তিনি দুপাশে দুটি টিম রেডী করে রাখতে নির্দেশ দেন ক্যাপ্টেন ইরফানকে সাথে ৪ জন গানম্যান স্ট্যান্ড বাই। মেজরের ধারনাই সত্যি হলো। সুবেদার আতাউরের বুদ্ধিদীপ্ত ও বীরামহীন ফায়ারিংয়ে টিকতে না পেরে বর্মী কমান্ডোরা অপ্রস্তত হয়ে যে যেদিকে পারে কেটে পড়ছিলো। মেজর মুনতাসির ড্রোন ক্যামেরা মারফত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষন করে লক্ষ্য করলো বর্মী কমান্ডোরা দ্রুত প্রাণপনে দৌড়চ্ছে ডানে এবং বামের জঙ্গলের দিকে। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তারা এমনভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে যে তারা এখন কমান্ড মানার মুডে নেই। মেজর মুনতাসির ওয়ারলেসে ক্যাপ্টেন ইরফানকে নির্দেশ দিলো দৌড়ানো অবস্থায় ওরা অপ্রস্তত তাই এ অবস্থায় ফায়ার ওপেন করো। শুট দেম।

ক্যাপ্টেন ইরফান ছিলেন ডানপাশের টিমের দায়িত্বে তিনি বাম পাশের টিম লিডার নায়েক আতিককে ফায়ার করতে করতে এগুতে নির্দেশ দিলেন। ক্যাপ্টেন ইরফানও তাই করলেন। বিজিবির ডান ও বায়ের দলটি প্রবল ফায়ারিংয়ের সাথে তিন দিক থেকে এগুচ্ছিলো। কুকুরের মত মারা পড়তে লাগলো ধাবমান বর্মী কমান্ডোরা।

ওদিকে বেশ কিচ্ছুক্ষণ আগেই ৩টি বেসক্যাম্প থেকে মোট ১৫০ সদস্যের একটি বিশাল দলকে জঙ্গলে প্রবেশ করার নির্দেশ দেয় মেজর মুনতাসির। তারা পেছন দিক দিয়ে বর্মী বাহিনীর পেছন দিক দিয়ে এগুচ্ছিলো। বর্মী কমান্ডোদের ১০ সদস্যের একটি পলায়নরত দল বিজিবির বেসক্যাম্প থেকে আগত একটি টিমের সামনে পরে। বিজিবি সদস্যরা সাথে সাথে তাদের ওপর ফায়ারিং ওপেন করলে তাদেরও স্পট ডেড হয়। ওদিকে চারদিক দিয়েই বর্মী কমান্ডোদের জেকে ধরেছে বিজিবি সদস্যরা। আজ যেনো কোন বিজিবি সৈনিকের মনে দয়ামায়া নেই। সবার চোখে প্রতিশোধের নেশা। শুধু বর্মীদের লাশ চাই লাশ। সহকর্মীদের হারানোর কষ্টে সবার বুক যেনো পাথর হয়ে গেছে। বাঙ্গালী একবার রাগলে কতটা যে ভয়ংকর হতে পারে তা ঘাতক বর্মী কমান্ডোদের এই গুপ্ত দলটি বেশ নিষ্ঠুরভাবেই টের পাচ্ছে।

বর্মী কমান্ডোদের ৮০ সদস্যের চৌকস দলটির মাত্র ৫ জন বেচেঁ আছে। তারা মর্টার গোলা পতিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট একটি গর্তে পজিশন নিয়ে বসে আছে। মাঝে মাঝে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করছে। বিজিবির স্পেশাল টিমের সদস্যদের ফায়ারের তোড়ে আর টিকতে পারছে না। এই গর্তটি থেকে মাত্র ২০ গজ দুরত্বে চলে এলেন সুবেদার আতাউর ও তার দল। মেজর লিয়াং ছিলেন সেই গর্তে। সুবেদার আতাউর বোঝার চেষ্টা করছিলেন সামনে কি আছে। কিন্ত তিনি লক্ষ্য করেননি যে সামনে একটা গর্ত আছে। ওদিকে মেজর লিয়াং বুঝতে পারলেন তার অবস্থান নেয়া গর্তের আশে পাশে বিজিবি সদস্যরা চলে এসেছে। মেজর লিয়াং বাচাঁর জন্য একটা শেষ চেষ্টা করলেন। তিনি সেই গর্তে থাকা সবাইকে গ্রেনেড চার্জ করার নির্দেশ দিলেন। মূহুর্তেই সেই গর্তের মধ্য থেকে উড়ে এলো ৫ টি গ্রেনেড। সুবেদার আতাউর ঝুপ করে কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একে একে বিস্ফোরিত হলো পাঁচ পাচটি গ্রেনেড। একটি গ্রেনেড সুবেদার আতাউর ও তাকে কভার করা আরেক সৈনিক নাজমুলের সামনে এসে পড়লো। এবং বিস্ফোরিত হলো। গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বিধলো সুবেদার আতাউর ও সেপাহী নাজমুলের মাথা, গলা, ও বুকে। সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো তারা দুজন। বাকী গ্রেনেড গুলোর বিস্ফোরণে আরো চারজন বিজিবি স্পেশাল টিমের সৈনিক গুরুতর আহত হলেন।

মেজর লিয়াং এবার গর্ত থেকে বেরিয়ে সীমান্ত বরাবর সোজা দৌড় শুরু করলেন। তাকে অনুসরণ করলো বাকী ৪ বর্মী কমান্ডো। ওদিকে বহু ডাকা ডাকি করেও ক্যাপ্টেন ইরফান ওয়ারলেসে সুবেদার আতাউরকে আর পেলেন না। তিনি বুঝলেন কোন একটা গন্ডগোল হয়েছে। তিনি দ্রুত বাম, ডানের দুটো টিমকেই সুবেদার আতাউরের টিমের কাছে আসার নির্দেশ দিলেন। ক্যাপ্টেন ইরফান ফাকা গুলি চালাতে চালাতে এগুচ্ছিলেন। তিনি পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বর্মী সৈনিকদের লাশ দেখতে পেলেন। ক্যাপ্টেন ইরফান সুবেদার আতাউরের পজিশনের জায়গায় এসে দেখতে পান সেই টিমের প্রায় সবাই গুরুতর আহত হয়েছেন। শহীদ হয়েছেন টিমলিডার সুবেদার আতাউর ও সৈনিক নাজমুল। তিনি বুঝতে পারলেন এদের আক্রমন করে শত্রুরা পালাচ্ছে। তিনি মুহুর্তেই ৪ গানম্যানকে এলার্ট করে দিলেন। ঠিক সে মুহুর্তেই গানম্যানদের সামনে থেকে ঝুপ ঝুপ করে দৌড়ে যাচ্ছিলো পাঁচ বর্মী ঘাতক কমান্ডো।

পজিশন রুল ঠিক করাই ছিলো। প্রথমে দুজন গানম্যান ফায়ার ওপেন করে। এবং পরে বাকী দুজন। ঝাঝড়া হয়ে যায় চার বর্মী কমান্ডোর বুক, পিঠ। মেজর লিয়াং শুয়ে পরেন। এবং লুকিয়ে যান এক ঝোপের আড়ালে। মেজর লিয়াংয়ের কাছে কেবলমাত্র একটি গ্রেনেডই আছে। সব অস্ত্র ফেলে দৌড়ে এসেছে সে। গ্রেনেডটার পিন খুলে মেজর লিয়াং এক গানম্যানের পজিশন বরাবর নিক্ষেপ করলো। ক্যাপ্টেন ইরফান দুজন করে গানম্যান বসিয়েছিলেন। গ্রেনেডটি একজন গানম্যানের সামনে পড়ায় আরেক গানম্যান দ্রুত ফন্টরোল দিয়ে সেটি ধরে মেজর লিয়াংয়ের অবস্থান লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করলো। ৩ সেকেন্ডের মাথায় গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হলো মেজর লিয়াংয়ের লুকোনো অবস্থান থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে। মেজর লিয়াংয়ের পায়ে বিধলো তারই ছোড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টার। আহত অবস্থায় লেংড়িয়ে লেংড়িয়ে মিয়ানমার সীমান্ত রেখা বরাবর এগিয়ে চললো সে। সীমান্ত পিলার আর মাত্র ৫ মিটার দূরে।

ওপারে দাড়িয়ে আছে প্রায় শ’খানেক বিজিপি ও মিয়ানমার সেনা সৈনিক। তারা শুধু মেজর লিয়াংয়ের সীমান্ত পার হবার অপেক্ষা করছে। মেজর লিয়াং সীমান্ত পিলার ছুঁতে যাবেন। ঠিক এমন সময় পর পর চারটি এল এম জির ব্রাশ ফায়ার ছিন্নভিন্ন করে দিলো ২৪ বিজিবি সীমান্তরক্ষীর প্রান কেড়ে নেয়া ঘাতকবাহিনীর এ নেতার দেহ। মেজরকে নিতে আসা সীমান্তের ওপারে দাড়িয়ে থাকা বিজিপি ও মিয়ানমারর সেনা দলের সদস্যরা বিস্ফোরিত ও ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলো না। মিয়ানমার আরেকবার দেখলো বাংলাদেশ কি পারে? বাংলাদেশকে আক্রমণ করার পরিনতি কতটা করুণ হতে পারে!

 

৩ দিন পর…

টক টকে লাল সূর্যের আলোকে পতপত করে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা। ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সাজ সাজ রব। ক্যাপ্টেন ইরফানকে গোল্ড মেডেল পরিয়ে দিচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক। সাথে মেজর মুনতাসিরকে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেয়া হলো পদোন্নতি। পুরষ্কৃত হলো অভিযানে অংশ নেয়া সকল বিজিবি ও সেনা সদস্য। বাদ গেলেন না এমআই-১৭ কপ্টারের পাইলট সায়েমও। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হলো সেই ২৪ জন শহীদ সীমান্ত রক্ষীকে। তাদের পরিবারদের দেয়া হলো সম্মাননা। মায়ানমার টের পেলো বাংলাদেশে হামলা চালানো কতটা বোকামী ছিলো। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুজন জেনারেলকে চাকরীচ্যুত করলো মায়ানমার সেনাবাহিনী।

মূলত অপারেশন কিলিং হান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করার পরদিন সকালেই ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল মাহবুবে আলম তার ব্যাটালিয়নের এ অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেন বিজিবি মহাপরিচালক কে। সব শুনে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন ওঠেনঃ

“অপারেশন কিলিং হান্ট” ইট ওয়াজ আ রাইট এন্ড গুড ডিসিশন। তোমার কোন চিন্তা নেই সরকারী চাপ আমি সামলে নেবো। তুমি তোমার ব্যাটালিয়নে বিশেষ দরবার ডাকো। আমি কালই আসছি। বাংলা মায়ের সব বীরসন্তানদের পুরষ্কৃত করতে চাই।

পরক্ষণেই বিজিবি মহাপরিচালক ফোন করলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ডিজি জানালেন ৮০ জন বর্মী জঙ্গিকে হত্যা করেছে আমাদের একটি ব্যাটালিয়ন। মন্ত্রী বললেন “গুড জব, কনগ্রাচুলেশন”

 

 

বিঃদ্রঃ এটি নিছক একটি গল্প এবং লেখকের মস্তিষ্কের একটি আবিষ্কার মাত্র। বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। অতিতে বা অদূর ভবিষ্যতে এই গল্পে উল্লেখিত কোন স্থান, কাল, চরিত্র কোন জীবিত বা মৃতব্যাক্তির কাহিনীর সাথে মিলে গেলে সেটি নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার, এজন্য লেখক কোনভাবেই দায়ী নন। সেইসাথে এই গল্পের সকল ছবিই মাত্র প্রতীকী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

লেখায়ঃ এইচ এম মেহেদী হাসান অর্নব ও এডমিন কর্তৃক সংযোজিত।

Facebook Comments

comments