PNS Ghazi ছিলো পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া প্রথম সাবমেরিন, যাকে এই উপমহাদেশের সমস্ত নৌবাহিনীর মধ্যকমিশন লাভ করা প্রথম সাবমেরিনও বলা যায়৷

পাকিস্তানের গাজী সাবমেরিনটি ছিলো মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা যার তৎকালীন নাম ছিলো USS Diablo।

USS Diablo মার্কিন নৌবাহিনীতে ১লা ডিসেম্বর ১৯৪৪ সালে কমিশন লাভ করে এবং ১৯৬৩ পর্যন্ত তা ব্যবহৃত হয় ৷

মার্কিন নৌবাহিনীতে থাকাকালীন সময়

১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির আমলে পাকিস্তানের আইয়ুব সরকার Security Assistence Program এর অধীনে সাবমেরিনটি লিজ নেয় যার নাম পরে রাখা হয় পিএনএস গাজী৷ গাজী সাবমেরিনটি তার সার্ভিস লাইফে দুইটি যুদ্ধ লড়েছে যা ছিলো ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ৷

১৯৬৭-৬৮ সালে গাজি সাবমেরিনটি তুরস্ক থেকে ১.৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে আপগ্রেড করে আনা হয়৷

USS Diablo ছিলো Tench Class Diesel Electric Submarine যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে নির্মিত হয়৷ এ ধরনের সাবমেরিনে ইঞ্জিন চালিয়ে ইলেকট্রিক ব্যাটারী চার্জ করে পরে তা দিয়ে সাবমেরিন চালানো হয়৷ সাবমেরিনটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩১০ ফুটেরও অধিক লম্বা এবং অস্ত্র হিসাবে ছিলো ২৮টি টর্পেডো৷ সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিলো সাবমেরিনটির রেঞ্জ কেননা এটি অপারেশনে থাকাকালীন সর্বোচ্চ ২০,০০০ কিমি পাড়ি দিতে সক্ষম ছিলো কোনপ্রকার অতিরিক্ত জ্বালানী ভরা ব্যাতীত৷

তাছাড়া টানা ৭৫ দিন সমুদ্রে মোতায়েন থাকার সক্ষমতা এবং ২ দিন পানির ১৫০ মিটার বা ৫০০ ফিট নিচে ডুব দিয়ে থাকার ক্ষমতা পাকিস্তান নেভীকে আরো বেশি কার্যক্ষম করে তোলে৷

স্পিড, রেঞ্জ, অস্ত্রধারন ক্ষমতা এবং দীর্ঘদিন যুদ্ধক্ষেত্রে কাটানোর ক্ষমতার ফলে গাজী সাবমেরিন ছিলো ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে মূর্তিমান আতংক৷ গাজী সাবমেরিনে ১০টি ২১ ইঞ্চি টর্পেডো টিউব বিদ্যমান এবং মোট ২৮টি টর্পেডো বহনে সক্ষম ছিলো ৷

তুরস্ক থেকে আপগ্রেড করার পর এতে সমুদ্রে মাইন ফিট করার ক্ষমতাও যোগ হয়৷ ফলে এর সক্ষমতা আরো বহুগুনে বেড়ে যায়৷ ১৯৬৫ সালে আক্রমনাত্মক অপারেশনে সাতটি পাকিস্তানে ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ারকে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের বিপরীতে একাই কভার দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিলো গাজীকে যা অপারেশন দোয়ারকা নামে পরিচিত৷ 


আসুন পরিচিত হই সাবমেরিনটির সার্ভিস লাইফ এবং পরিনতির সাথেঃ

১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধ হলে তা সীমান্ত বরাবর কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে ৷ যুদ্ধে ভারতের পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমানহামলার চেষ্টা ব্যর্থ করতে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ৷ উদ্দেশ্য ছিলো ভারতের গুজরাত রাজ্যের জামনগর জেলার সমুদ্র তীরবর্তী শহরে হামলা চালানো৷

জামনগরের দোয়ারকা শহর ছিলো করাচি থেকে মাত্র ২০০ কিমি দূরে যার ফলে করাচিতে ভারতীয় বিমান হামলা করলে দোয়ারকা শহরের রাডার স্টেশন এবং রেডিও কমিউনিকেশন সেন্টার দ্বারা তাকে সহজেই গাইড করা সম্ভব৷

এর জন্য ব্যবহৃত হতো High-Frequency Distance Finding নামক যন্ত্র যা সংক্ষেপে HF/DF নামে পরিচিত৷

অনেক বাহিনী একে Huff-Duff বলেও ডেকে থাকে৷ আর যা দূরপাল্লায় যোগাযোগের জন্য বিশেষত সাবমেরিন বা বোমারু বিমানের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিলো দোয়ারকা শহরের সমুদ্র উপকূলের নিকট থেকে জাহাজের মাধ্যমে গোলা বর্ষন করে ভারতীয় রাডার স্টেশনগুলো ধ্বংস করে দেওয়া৷

High-Frequency Distance Finding যন্ত্র

গুজরাতের পাশের প্রদেশ মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বন্দরে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ থাকায় দোয়ারকা শহরের উপর জাহাজ দ্বারা হামলা চালালে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ দ্বারা পাল্টা আক্রমনের আশংকা করা হয়৷

তাই পরিকল্পনা ছিলো ডেস্ট্রয়ার এবং ক্রুজার দ্বারা শহরে হামলা চালানোর সময় সাবমেরিন গাজী পানির নিচ থেকে পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজকে কভার দিবে এবং ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালাবে।

এই কাজের জন্য দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাতটি যুদ্ধজাহাজকে যার একটি লাইট ক্রুজার এবং বাকি ছয়টি ছিলো ডেস্ট্রয়ার৷ এই সব জাহাজকে কভার দেওয়ার জন্য সাথে পাঠানো হয় পাকিস্তানি সাবমেরিন গাজীকে৷

এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে ৬ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মোট ৮টি যুদ্ধজাহাজ করাচি বন্দর ছেড়ে রওনা হয় গুজরাতের অভিমুখে৷

তাদের মধ্যে ছিলো একটি লাইট ক্রুজার পিএনএস বাবর, ছয়টি ডেস্ট্রয়ার পিএনএস খায়বার, বদর, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, শাহ জাহান এবং টিপু সুলতান যাদের সাথে ছিলো সাবমেরিন পিএনএস গাজী৷

এই যুদ্ধই ছিলো পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সার্ভিসে গাজীর প্রথম মিশন এবং দক্ষিন এশিয়ার কোন নৌযুদ্ধে সাবমেরিনের প্রথম ব্যবহার৷

পিএনএস বাবর যা পূর্বে ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে ব্যবহৃত হতো

জাহাজগুলো দোয়ারকা শহরের উপকূলের নিকটবর্তী পৌছালে সেই স্থানকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানী নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ব্যাপক আকারে গোলা বর্ষন করে৷ আক্রমনের নেতৃত্বে ছিলো লাইট ক্রুজার পিএনএস বাবর যা ব্রিটিশ নৌবাহিনী থেকে কেনা ডিডো ক্লাস লাইট ক্রুজার HMS Diadem৷

আক্রমন চালানোর সময় পাল্টা হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে আসায় গাজী আক্রমনের সময়ের পুরোটাই সেখানেই ওত পেতে ছিলো মহারাষ্ট্র থেকে পাল্টা হামলা চালানোর জন্য ভারতীয় জাহাজ আসবে বলে। ভারতীয়রা এই ঘটনা বুঝতে পেরে আর পাল্টা হামলা চালাতে আসেনি৷ এই হামলার দিনটি পাকিস্তান নৌবাহিনীর দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।

৬৫ এর যুদ্ধের পর গাজীর ব্যবহার হয় বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধে৷ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও গাজীর ব্যবহার দেখা যায়৷ এই যুদ্ধেই জাহাজটির সলিল সমাধি ঘটে৷ তাও ভারতীয় নৌবন্দরে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পিএনএস গাজী

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধের প্রথমে পাকিস্তানের বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রন ভালো থাকলেও বিভিন্ন গেরিলা অপারেশন সহ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী প্রতিরোধের মুখে পরে ক্রমাগত দূর্বল হতে থাকে৷ যুদ্ধের শেষের দিকে পাকিস্তান বুঝতে পারে পূর্ব পাকিস্তান তাদের হাতছাড়া হবে যদি ভারত পূর্বপাকিস্তানের ব্যাপারে নাক গলায়৷ তাই পাকিস্তান সেনাবাহিনী বারবার পাকিস্তান নৌবাহিনীকে যুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য চাপ দিতে থাকে৷

পাকিস্তান নৌবাহিনী তখন বুঝতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনী যুদ্ধে অংশগ্রহন করলে তার বিশাল নৌবহর দ্বারা সম্পূর্ন বঙ্গোপসাগর অবরোধ করে পূর্ব পাকিস্তানকে পুরো পৃথিবী থেকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে রুপান্তরে সক্ষম৷

ভারতীয় নৌবাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন জাহাজ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর গর্ব ছিলো ভারতের বিমানবাহী রনতরী INS Vikrant৷ Vikrant তার বিশাল বিমানবহর দ্বারা একাই বঙ্গোপসাগরের বড় একটি অংশ অবরোধ করতে সক্ষম ছিলো৷ তাই এই জাহাজটিকে ডোবানোই ছিলো পাকিস্তান নৌবাহিনীর মূল লক্ষ্য৷

উল্লেখ্য তৎকালীন ভারতীয় বিমানবাহী রনতরী Vikrant এর বিমানবহরে ছিলো ব্রিটিশ Hawker Seahawk যুদ্ধ বিমান, ফরাসী Breguet Alize এন্টি-সাবমেরিন বিমান, মার্কিন Seaking এর মত হেলিকপ্টার- যার দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দরসহ পূর্বপাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে বড় আকারের হামলা চালানো সম্ভব ছিলো।

ভারতীয় রনতরী INS Vikrant

INS Vikrant কে ডোবানোর লক্ষ্য সামনে নিয়ে পাকিস্তানি নৌবাহিনী নিজেদের গর্বের প্রতীক সাবমেরিন গাজীকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় যার নেতৃত্ব দেওয়া হয় কমান্ডার জাফর মোহাম্মদ খাঁনকে৷ তার সাথে আরো ৯২ জন নৌ সদস্য নিয়ে পাকিস্তানী নৌবাহিনী মিশনটি পরিচালনার পরিকল্পনা করে।

পাকিস্তান নৌবাহিনী তার গোয়েন্দাসূত্রে জানতে পারে INS Vikrant চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ বন্দরে নোঙর করা। তাই ঠিক করা হয় বন্দর থেকে বের হওয়ার পথে গাজী সাবমেরিন পানির নিচে মাইন বিছিয়ে দিবে যাতে করে বন্দর থেকে বের হওয়ার পথেই Vikrant এ বিস্ফোরন ঘটবে৷

১৪ই নভেম্বর অপারেশন শুরু করলে তার কিছুদিন আগে করাচি নৌবন্দর থেকে সাবমেরিনের ডিজেল ইঞ্জিনের জন্য ব্যবহার হওয়া বিশেষায়িত তেল চাওয়া হয়। এই মেসেজ ইন্টারসেপ্ট করায় ভারত পাকিস্তানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আগে থেকেই টের পেয়ে যায় কেননা এই তেল কেবল মাইনসুইপার জাহাজ এবং সাবমেরিনেই ব্যবহৃত হয়৷

তাই ১৩ই নভেম্বর রাতে সকল কমিউনিকেশন এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেম বন্ধ করে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে INS Vikrant কে আন্দামান দ্বীপে সরিয়ে নেওয়া হয় ৷


১৪ নভেম্বর করাচি বন্দর থেকে মিশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে গাজী ১৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের সংলগ্ন সমুদ্রের দূরে, ১৯ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় অঞ্চল সেলনকে অতিক্রম করে ২০ নভেম্বর আরব সাগর ছেড়ে বঙ্গোপসাগরে পৌছায়৷ সে সময় বঙ্গোপসাগরে ভারতের ৩টি নৌবন্দর ছিলো যা চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ, অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তম, উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে অবস্থিত৷ ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু করে গাজী কয়েকদিন চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ বন্দরে INS Vikrant এর সন্ধানে নজরদারি করে৷

গাজী সাবমেরিনের করাচি বন্দর থেকে আরব সাগর অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় বন্দরে প্রবেশের মিশনের গতিপথ

সে সময় ভারত খবর পায় শ্রীলঙ্কার উপকূলের দূরে গাজীকে দেখা গিয়েছে৷ এ খবর শুনে ভারত বুঝতে পারে গাজী বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করেছে৷

তাই বিশাখাপত্তম বন্দরের বের হওয়ার রাস্তার নিকটে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ডেস্ট্রয়ার রাজপুতকে নোঙর করা হয়। এরপর সেই রাজপুতের রেডিও দিয়ে INS Vikrant এর রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি এবং কলসাইন নকল করে ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিস থেকে বিপুল পরিমান রসদের জন্য আবেদন করা হয় এই আশায় যে পাকিস্তানীরা ভারতের রেডিও মেসেজ ইন্টারসেপ্ট করে শুনবে এবং মনে করবে INS Vikrant এখনো বিশাখাপত্তম বন্দরে রয়েছে৷

ভিক্রান্ত জাহাজে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান Hawker Seahawk

কয়েকদিন মাদ্রাজ বন্দরে নজরদারি করে ভিক্রান্তকে খুজতে ব্যর্থ হয়ে পাকিস্তানিরা সেই রেডিও মেসেজ থেকে জানতে পারে ভিক্রান্ত বিশাখাপত্তমে নোঙর করা রয়েছে৷ তাই গাজী মাদ্রাজ থেকে বিশাখাপত্তমের দিকে রওনা দেয়৷

বিশাখাপত্তমে পৌছালে বন্দর থেকে বের হওয়ার রাস্তায় সমুদ্রের নিচে মাইন বিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়৷ মাইন বিছানোর সময় গাজী সাবমেরিনে বিরাট আকৃতির বিস্ফোরন ঘটে।

বিস্ফোরনের মাত্রা এত বেশি ছিলো যে বন্দর এবং তার পাশের শহরও শব্দে কেপে ওঠে ৷ পরে তার ভাসমান কিছু ধ্বংসাবশেষ দ্বারা নিশ্চিত করা হয় এটি সেই পাকিস্তানী সাবমেরিন গাজী ছিলো ৷

গাজীর ধ্বংস নিশ্চিত হলে ভিক্রান্তকে পুনরায় বঙ্গোপসাগরে আনা হয় পূর্ব পাকিস্তানের সমুদ্রসীমা অবরোধের জন্য। মার্কিন জাহাজের প্রবেশ এবং হামলা রোধ করা জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু জাহাজও সমুদ্রে মোতায়েন করা হয়৷ এই সময়ব্যাপী পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশকে বাইরের বিশ্ব এবং পাকিস্তানের অস্ত্রের রসদ পাঠানো থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ভারতের সেনা এবং বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধারা এই সময়ে পাকিস্তানের সৈন্যদের বিভিন্ন অঞ্চলে হারিয়ে ঢাকা ঘেরাও করে সেখানে কোনঠাসা করে৷

এ সময় ভিক্রান্ত থেকেও চট্টগ্রাম বন্দরে বিমান হামলা চালানো হয়৷ এরই মধ্যে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়।

তবে গাজী কিভাবে ধ্বংস হয়েছিলো তা নিয়ে আজও সন্দেহ আছে। কেননা ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ের বিবৃতি এ বিষয়ে ভিন্ন। ভারতের মতে ভারতীয় ডেস্ট্রয়ার রাজপুত থেকে ফেলা ডেপথ চার্জ বোমায় গাজী ধ্বংস হয়েছে৷ অন্যদিকে

পাকিস্তানের মতে নিজের বিছানো মাইনে আঘাত করায় সাবমেরিনটি ধ্বংস হয়৷ তবে প্রমান দেখে ভারতের দাবিটিই বেশি সত্য বলে মনে হয় কেননা গাজীর ক্ষতির মাত্র এর মাঝখানের অংশে বেশি ছিলো এবং মাইনে আঘাত করলে এই ক্ষতি সামনের দিকে বেশি হতো৷

Facebook Comments

comments