কোল্ড ওয়্যারের সময় দুই প্রান্ত আরেকটি যুদ্ধের জন্য সদা প্রস্তুত থাকতো। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে চাপে থাকতো জার্মানী কারণ তাদের পশ্চিমাংশ ক্যাপিটালিস্টদের হাতে ও পূর্বাংশ কম্যুনিস্ট রাশিয়াপন্থী। তাই যুদ্ধ হলে এখান থেকেই সূচনা হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বাঘ একদম বেড়ালে পরিণত হয় ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা ও রাশিয়ার কোপে পড়ে। তারা কোন বিমান একক ভাবে বানাতে পারতো না। তাদের সব বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিয়ে যায় মিত্র শক্তি।

আঙ্কেল স্যাম তখন ওয়েস্ট জার্মানীকে বিপুল সংখ্যক এফ-১০৪ স্টারফাইটার জেট দেয়। কিন্তু তারা এই ব্যাপারে চিন্তিত হয় যে যুদ্ধ শুরু করবে রাশিয়া আর প্রথমেই এয়ারবেজগুলো গুড়িয়ে দেবে যেন আকাশে কোন বিমান না উড়তে পারে। আর তাই তারা জঙ্গলে ফাইটার বিমান সেট করে। কিন্তু উন্নত রানওয়ে ছাড়া এসব আধুনিক বিমান উড়বে কিভাবে।

আর তাই আর্বিভূত হয় রকেট পাওয়ার্ড টেকঅফ

ছবিতে স্টার ফাইটার

স্টার ফাইটারগুলোকে একটা স্টেজে এনে এমন ভাবে ফিট করতো যেন মই বেয়ে পাইলট অনবোর্ড হতে পারে। আর বিমানের নিচে ডিটাচেবল রকেট প্যাক রাখতো। আপদকালীন মূহুর্তে সে স্টেজ থেকেই রকেটের সাহায্যে বিমান আকাশে উড়তো। ফ্লাই করার আগেই বিমানের ইঞ্জিন ফুল থ্রটলে রাখা হতো। যে সামান্য পথ রকেটে যেতো তার মাঝেই স্টল স্পীড অর্জন করতো ফাইটার। বাকিটা নিজেদের ইঞ্জিনেই চলতো।

বিমানে ফ্রান্স বা ইংল্যাণ্ডে যাওয়ার মত ফুয়েল থাকতো যেন আকাশে লাল ফৌজের ফাইটার ইন্টারসেপ্ট করে পরে নিরাপদে ল্যাণ্ড করতে পারে। আর রকেটের জ্বালানী শেষ হলেই তা নিচে পড়ে যেতো। এ নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র ও আছে। দেখতে পারেনঃ

লেখায়ঃ শিহরণ ও এডমিন কর্তৃক সংযোজিত।

Facebook Comments

comments