আপনারা সবাই জানেন যে বাংলাদেশ আর্মি লাইট ট্যাংক হিসেবে VT-5 এর অর্ডার দিয়েছে।

VT-5 চিনের তৈরি লাইট ট্যাংক। এটির স্বল্প ওজনের কারণে এটির মোবিলিটি বৃদ্ধি পায় এবং এটি কাদামাটি, সমতল, পাহাড়ি রাস্তা এবং মরুভূমি সব পরিবেশেই চলতে পারে। এটিতে আছে ERA(Explosion Reactor Armour) যা এই ট্যাংক কে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।

বাংলাদেশ আর্মি এই ট্যাংকে কিছু আপগ্রেডেশন করেছে যা একে চাইনিজ ভিটি-৫ থেকে উন্নত করেছে।

পাশাপাশি ফায়ারপাওয়ার বৃদ্ধির জন্য এটিতে ১০৫ মিঃমিঃ এর কামানের পরিবর্তে ১২৫ মিঃমিঃ কামান লাগানোর চুক্তি করেছে।

বিবরণঃ

  • লেন্থ: ৯.২ মিটার
  • হাইট: ২.৫ মিটার
  • ব্রেথ: ৩.৩ মিটার
  • ওয়েট : ৩৩ থেকে ৩৬ টন

অস্ত্রসস্ত্রঃ

  • ১টি ১০৫ মিমি এর কামান। এটি ৫ কিঃমিঃ দূর থেকে এটিজিএম মারতে পারে! তবে বাংলাদেশি ভার্সনে ১২৫ মিমি গান থাকবে।
  • হান্টার কিলার ক্যাপাবিলিটি ও আছে।
  • ১টি ১২.৭ মিমি এর রিমোট কন্ট্রোলড্ মেশিন গান, ১টি ৭.৬২ মিমি এর মেশিন গান।
  • ৪০মিমি এর ১টি গ্রেনেড লঞ্চার।

১২.৭ মি.মি. এর মেশিন গান

আর্মরঃ

ERA(এক্সপ্লোসিভ রিয়েক্টিভ আর্মার), কম্পোসিট আর্মার এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা!

মবিলিটিঃ

  • ইঞ্জিন: ডিসেল ইঞ্জিন
  • গতি: ৭০ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টায়
  • রেঞ্জ: ৪৫০ কিঃমিঃ

এক কথায় আমরা এখানে সীমিত আকারে এমবিটি পাচ্ছি। তবে এটিকে শুধুমাত্র এর ১২৫ মিঃমিঃ মেইনগান এবং হান্টার কিলার ক্যাপাবিলিটির জন্য T-90/T-72 এর সমতুল্য ভাবা উচিত না

মূলত ১২৫ মিঃমিঃ গানের জন্য এর ফায়ার পাওয়ার বৃদ্ধি হলেও এর কিছু অসুবিধাও আছে। আর তা হলোঃ

১০৫ মিঃমিঃ রাইফেল্ড গানের বদলে ওজনে ভারী এবং তুলনামূলক বড় ১২৫ মিঃমিঃ স্মুথবোর মেইনগানের কারণে টারেট চেঞ্জ করতে হবে/ টারেটের জায়গা কমে যাবে, ফলে এর গতি কমে যাবে।

গোলার সাইজ বড় হওয়ার কারণে এতে ৩৮ এর বদলে ২৫-৩০ টা গোলা রাখ যাবে। যেখানে ভারি এমবিটিতে ৪২ টি গোলা রাখা যায়।

তাই বলাই যায় যে ফায়ার পাওয়ার বৃদ্ধি করতে গিয়ে আমরা VT-5 এর গতি এবং গোলা ধারণ ক্ষমতার সাথে সমঝোতা করেছি। তাই ফায়ারপাওয়ারে এমবিটির কাছাকাছি গেলেও, এটি কোন ভাবেই কোন এমবিটির সমতুল্য হবেনা।

তাই VT-5 কে T-90, T-72 অথবা MBT-2000 এর সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন।

Facebook Comments

comments